বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যখন ভঙ্গুর, শিক্ষার নামে দেশ থেকে যখন মেধা পাচার হয়ে যাচ্ছিল বিদেশে ঠিক তখনই আধুনিক সুযোগ সুবিধা ও উন্নত বিশ্বের আদলে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে স্টামফোর্ড ফাউন্ডেশন। স্টামফোর্ড ফাউন্ডেশন এর প্রথম প্রয়াস স্টামফোর্ড কলেজ যা এখন থেকে প্রায় দেড় যুগ পূর্বে বাংলাদেশে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে পথ চলা শুরু করে। ঢাকা শহর তথা বাংলাদেশের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে স্টামফোর্ড কলেজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ মিলিয়ে প্রতি শিক্ষাবর্ষে প্রায় ছয়শত শিক্ষার্থীকে এখানে শিক্ষা দেয়া হয়। স্টামফোর্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ, সরকারি–বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। ডাক্তার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রকৌশলী, প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ ব্যবসা বাণিজ্য ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে তারা সমাজে নিজের অবস্থান যেমন দৃঢ় করেছে তেমনি স্টামফোর্ড কলেজের মুখকে করেছে উজ্জ্বল।
সিলেবাসভূক্ত পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি নানামুখী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে তারা অংশগ্রহণ করে। শিক্ষাসফর, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, বার্ষিক বনভোজন, জাতীয় দিবসগুলি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে থাকে। এখানে একঝাঁক যোগ্য, অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিত, তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ ও প্রাণবন্ত শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্টামফোর্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বরাবরই ভালো ফলাফল করে থাকে। ইংরেজি বিষয়ে বিশেষ যতœ নেয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভীতি থাকেনা।
এছাড়াও স্টামফোর্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন দূর্যোগে সর্বদা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থেকে সাধ্যনুযায়ী সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
স্টামফোর্ড কলেজের অগ্রযাত্রায় আপনারা আমাদের সহযোগী হবেন এই প্রত্যাশা করি|
ফাতিনাজ ফিরোজ
চেয়ারম্যান, গভর্নিং বডি, স্টামফোর্ড কলেজ ও
প্রেসিডেন্ট, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ